Posted on

মা খরগোশ ও বেবীদের যত্ন

আমরা জানি যে মা খরগোশ ২৮-৩৪ দিনের মধ্যে বেবী ডেলিভারী করে থাকে। এ সময় মা খরগোশের একটু আলাদা ভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। কারন মা খরগোশের যত্ন না নিলে সে দূর্বল থাকলে ক্ষুধার্ত থাকলে তার বেবীগুলোকে দুধ পান করাবে না। 

🐰🐰মা খরগোশের বেবী ডেলিভারী দেওয়ার পর পর বেবীগুলো কে হাত দিয়ে ধরবেন না। বেবীগুলোকে মায়ের কাছে রাখবেন। মা খরগোশ যেখানে তার পশমগুলো ছিড়ে রেখেছে, তুলোর মতন করে সেখানেই বেবীগুলোকে রেখে দিবেন ১৫ দিন পর্যন্ত। 

খেয়াল রাখবেন মা খরগোশটি বেবীগুলোকে মিল্ক ফিড করাই না কী! 

যদি দেখেন মা খরগোশ বেবীগুলোকে মিল্ক ফিড করাছে না তাহলে সে ক্ষেএে আপনি নিজে বেবীগুলোকে মিল্ক ফিড করাবেন। সব চাইতে ভালো হতো যদি মা খরগোশের দুধ খাওয়ানো যায় বেবীদেরকে। 

মা খরগোশের বয়স যদি ছয়মাস থেকে সাতমাস বয়স হয় তাহলে সে তার বেবীদের মিল্ক ফিড করানোর ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন থাকে! কারন মা হবার জন্য সে তখনও প্রস্তুত না। মা খরগোশের বয়স যদি দশমাসের উপরে হয় তখন সে তার বেবীদের যথেষ্ট কেয়ার নিতে পারে। কারন সে মা হবার জন্য প্রস্তুত। সে নিজ থেকেই বেবীদের মিল্ক ফিড করাবে, কেয়ার নিবে। 

বেবীদের মিল্ক ফিড করানোর জন্য মা খরগোশ যদি নিজে থেকে দুধ না খাওয়ায় তাহলে আপনি মা খরগোশটিকে হাল্কা করে ধরে শুইয়ে দিয়ে বেবীদেরকে মায়ের দুধের সামনে এনে ধরবেন। দেখবেন বেবীগুলোই নিজ থেকে মিল্ক ফিড করবে। 

মা খরগোশের যদি দুধ না থাকে বা সে তার বেবীগুলোকে একেবারেই দুধ না খাওয়ায় তাহলে আপনি বেবীগুলোকে ছাগলের দুধ অথবা বিড়ালের দুধ খাওয়াতে পারেন দুই মাস পর্যন্ত। 

যেহেতু কিটেন মিল্ক পাওয়াটা সম্ভব না তাই আপনি ছাগলের দুধটা অল্প কিছু পানির সাথে জ্বাল দিয়ে বেবীগুলোকে ড্রপার দিয়ে খাইয়ে দিবেন। 

বেবীদের খাওয়া হলে ওদের পেটের দিকে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, পেট ফুলে উঠবে এবং সাদা সাদা দেখা যাবে। 

🐰🐰বেবীগুলোকে একটা নির্দিষ্ট জায়গাতে রাখবেন। উঁচু জায়গাতে রাখবেন না যাতে পড়ে না যায়। 

🐰🐰মশা মাছির কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বেবীগুলোর ঝুড়ির উপরে একটা প্লাষ্টিকের ছিদ্র করা থাকে যে ঢাকনা গুলো এগুলো দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন। 

🐰🐰বেবীদের সরাসরি ফ্যানের নিচে বা গরম আছে এমন জায়গাতে রাখবেন না। 

দুই মাস পযন্ত এভাবে শুধু মায়ের দুধই দিবেন খেতে। মায়ের দুধ খেতে পেলে ওরা পাবে পুষ্টি এবং সুস্থ ভাবে খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে উঠবে। 

🐰☘️ মা খরগোশের যত্ন- 

মা খরগোশকে সবার আগে যত্ন নিতে হবে কারন মা খরগোশ ক্ষুধার্ত থাকলে, দূর্বল থাকলে তার বেবীগুলোকে খাওয়াবে না। তাই সবার আগে মা খরগোশকে খাইয়ে এরপর বেবীদেরকে খেতে দিন। 

মা খরগোশের ডায়েটে প্রচুর পরিমান সবুজ ফ্রেশ ঘাস, হ্যে, তো রাখবেনই পাশাপাশি গাজর, কলা, আপেল , লিটুস পাতা, সজিনা পাতা, ইপিল ইপিল, এডাল্ট পেলেটস ইত্যাদি ইত্যাদি দিবেন ট্রিট হিসাবে এক এক দিন এক একটা চ্যান্জ করে। 

পানির সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন হিমালিয়ান পিংক সল্ট সপ্তাহে দুই দিন। 

এছাড়া যদি দেখেন এগুলো দেওয়ার পরও মা খরগোশ শুকিয়ে গেছে তাহলে ভেটের সাথে কথা বলে দিতে পারেন মাল্টিভিটামিন। 

মা খরগোশের যত্ন নিন এবং বেবীদেরও যত্ন নিন। সঠিক ভাবে যত্ন ও সঠিক ডায়েট দিলে আপনার খরগোশগুলো হেলদি থাকবে সুস্থ থাকবে। 

🐰🐰বছরে দুই বারের বেশী ব্রিড করাবেন না। ঘন ঘন ব্রিড করালে ফিমেল বানির স্বস্থ্যহানী ঘটে মৃত্যু পযন্ত হতে পারে। 

🐰🐰আপনার খরগোশকে কুকুর বিড়াল থেকে সাবধানে রাখবেন। 

নূসরাত খান স্বর্না 

এডমিন 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *