Posted on

যেভাবে খরগোশের যত্ন নিব?

যারা একদম নতুন খরগোশ পালেন তাদের জন্য আজকে আমার এই পোষ্ট। প্রায় প্রতিদিনই আমরা গ্রুপে এমন একটা পোষ্ট পাই যে, আমি নতুন খরগোশ এনেছি এখন কী করবো? কী ভাবে পালব? কী খাওয়াবো? কী ভাবে রাখবো? ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রথমেই congratulations বানি পেরেন্টস হবার জন্য আপনাকে। যেহেতু আপনি বানি পেরেন্টস হয়েছেন তাই আপনার এখন থেকে কিছু দায়িত্ব্য পালন করতে হবে।

🐰☘️ আপনার খরগোশ যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে আসবে তখন সে ভয় পাবে এবং কিছু খেতে চাইবে না এটা স্বাভাবিক। এতে ভয়ের কিছু নেই। আপনি তাকে কোলে নিয়ে আদর করুন, সময় দিন সে নিজ থেকে ঠিক হয়ে যাবে।

🐰☘️ খাবার তালিকা – গ্রুপে এনাউন্সমেন্টে এডমিনরা সুন্দর করে লিখে দিয়েছে খরগোশের জন্য কোন খাবারটা সেইফ আর কোন খাবারটা সেইফ না। মানুষের কোনও খাবার খরগোশকে দেওয়া যাবে না। আপনার খরগোশ যদি দুই মাস বয়সী হয় অথবা তার নিচে বয়স হয় তাহলে তাকে শুধুই মায়ের দুধ খেতে দিতে হবে তিন থেকে চারবার ডেইলি। মা বানি যদি না থাকে তাহলে আপনি ছাগলের দুধ অথবা বিড়ালের দুধ খাওয়াতে পারেন। যেহেতু বিড়ালের দুধ দেওয়াটা সম্ভব নয় তাই আপনাকে ছাগলের দুধ খাওয়াতে হবে বেবী খরগোশকে টানা দুই মাস পযন্ত। দুধ খাওয়ানো সময় ঘাস বা অন্য জিনিষ খাওয়ানো প্রয়োজন নেই। গরুর দুধ খাওয়ানো যাবে না কারন গরুর দুধ তাদের হজম হয় না। দুই মাসের বেশী বয়সী খরগোশ হলে আপনি তাকে ছয় মাস পযন্ত ঘাস, পানি এবং জুনিয়র পেলেটস দিতে পারেন। (pallets- Verselega cuni junior) ছয় মাস বয়সের পর আপনি আপনার খরগোশদেরকে তাজা ঘাস, হ্যে, নিরাপদ সবজি এবং ট্রিট হিসাবে ফল মূল (বিচি ছাড়া) ও পেলেটস দিতে পারেন। (Verselega cuni Adult) খাদ্য তালিকা বিস্তারিত ভাবে আরও জানতে আপনি এনাউন্সমেন্টে চেক করবেন, সেখানে আরও ডিটেইলস পাবেন।

🐰☘️ কী ভাবে রাখবেন- আপনি আপনার খরগোশকে চেষ্টা করবেন দিনের বেলাটুকু ছেড়ে পালতে। যদি আপনি সারা দিন ছেড়ে পালতে পারেন সেটা খুবই ভালো, শুধু রাতের বেলা ওর খাচাতে ওঁকে যথেষ্ট পরিমান খাবার দিয়ে আটকে রাখতে পারেন। সব সময় বন্দী রাখা যাবে না। খরগোশ খেলাধুলা করতে এবং চলাফেরা করতে খুবই ভালেবাসে। তারা বন্দী জীবন পছন্দ করে না। আর সবসময় বন্দী রাখলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মারাও যায়।

🐰☘️ খরগোশের থাকার জন্য যে খাচাটি নিবেন তা সাইজে বড় হতে হবে। যাতে করে ওরা আরাম করে শুতে পারে। আপনি চাইলে প্লে পেন নিতে পারেন খাঁচার পরিবর্তে। প্লে পেন নিলে ওরা জায়গাটা বেশী পাবে এবং আরাম করে থাকতে পারবে।

🐰☘️ আপনার খরগোশের থাকার জায়গাতে সব সময় পানি এবং খাবার দিয়ে রাখবেন। দিনের বেলা থেকে রাতে ওরা খাবারটা বেশী খায় তাই রাতে বেশী পরিমানে ঘাস এবং পানি দিয়ে রাখবেন।

🐰☘️ খরগোশ নিরীহ একটা প্রানী। কুকুর বিডাল থেকে আপনার খরগোশকে সাবধানে রাখবেন। কারন কুকুর বিড়ালের কামড়ে কিন্তু খরগোশ মারা যায়।

🐰☘️ গোসল করাবেন না। গোসল করালে কী সমস্যা হবে এবং কেন করাবেন না তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে এনাউন্সমেন্টে পোষ্ট দেওয়া আছে দেখে নিবেন। শরীর মুছে দিবেন। পরিস্কার জায়গাতে সব সময় রাখার চেষ্টা করবেন।

🐰☘️ গরম জায়গাতে রাখা যাবে না যেখানে বাতাস নেই। এমন জায়গাতে রাখবেন যেখানে বাতাস চলাচল করে। শীতকালে ঠান্ডা ফ্লোরে ডায়রেক্ট রাখা যাবে না। চেষ্টা করবেন রুম টেম্পারেচারে রাখতে। সরাসরি এসির নিচে রাখা যাবে না। ভালো থাকুন, আপনার পোষ্য প্রানীদের সুস্থ রাখুন। নূসরাত খান স্বর্না এডমিন রেবিট ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি অফ বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *