Posted on

শীতকালীন খরগোশের যত্ন

শীতের এই সময়ে দরকার হয় খরগোশ এর জন্য বাড়তি কিছু যত্নের। তাই এই সময় আপনি যা যা করবেন। । ১) খরগোশের খাঁচায় খবরের কাগজ, খড়, মোটা কাপড় বিছিয়ে দিন। কম্বল দিবেন না কারণ খরগোশ প্রায় সেগুলো চিবিয়ে খায়, যার ফলে পেটে সমস্যা হতে পারে। ২) স্যাঁতসেঁতে যাতে না হয় তার জন্য প্রতিদিন খরগোশের ঘর/খাঁচা পরীক্ষা করুন। একপাশে একটু ঢালু রাখুন। ঘরে ছেড়ে পালন করলে ঘরের একপাশে মোটা কাপড় বিছিয়ে দিন। যাতে সেখানে বসতে পারে। ৩) খরগোশ এর থাকার স্থান দুইপাশ খোলা রাখুন। খরগোশ শীতকালেও উষ্ণ হয়ে ওঠে কারণ খরগোশ এর বডি তাপ উৎপন্ন করে। এবং হিট স্ট্রোকের করতে পারে। একদম বদ্ধ করে রাখবেন ৪ পাশ থেকে। ৪) শীতকালে মাছি খরগোশের দেহের গরম পছন্দ করে এবং তাদের ডিম পাড়ে। এতে খরগোশের চামড়ায় পশমের নিচে মাছির লার্ভা হতে পারে। যা স্ক্রিন ইনফেকশন এর কারণ। তাই খরগোশ এর থাকার স্থান নিয়মিত পরিষ্কার করুন । মাছি যাতে বাসায় না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। ৫) শীতের সময় যদি সম্ভব হয়, আপনার খরগোশের নিয়মিত ওজন মাপুন। ওজন খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি বা ওজন খুব তাড়াতাড়ি হ্রাস উভয়ই অসুস্থতার গুরুতর লক্ষণ। তাই নিয়মিত চেক করুন। আঁশ জাতীয় খাবার বেশি করে দিন। ৬) আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে আপনার খরগোশের পায়ে কালশিটে দেখা যাচ্ছে, তাহলে এটি আর্থ্রাইটিসের রোগের লক্ষণ হতে পারে। এটি একটি চিহ্ন যে খাঁচা পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার করা হচ্ছে না, কারণ এই অবস্থাটি হয় খরগোশ নিজের প্রস্রাবে বসে থাকার কারণে। এতে তাদের সংবেদনশীল, পাতলা ত্বককে জ্বালাতন করে। ৭) একটি পরিষ্কার শুকনো জায়গায় নিয়ন্ত্রিত ছেড়ে রাখুন। যাতে সে হাঁটতে পারে। ৮) সব সময় নিশ্চিত করুন যে আপনার খরগোশের প্রচুর পরিমাণে পানি এবং আঁশ জাতীয় খাবার খাচ্ছে। শীতকালীন শাকসবজি সাপ্তাহে দুইদিনের বেশি ও কোন ভাবেই তার প্রতিদিনের মোট খাবারের ১৫% এর বেশি দেওয়া যাবে না। মানে খরগোশ যদি ১০০ গ্রাম খাবার খায় তবে ১৫ গ্রাম এর বেশি শাকসবজি দেওয়া যাবে না৷ ৯) শীতকালে সব থেকে বড় সমস্যা খরগোশের পি সাদা হয়ে যাওয়া। এটা হয় সব থেকে বেশি পাতাকপি বা ফুলকপি খাওয়া ফলে। কিছু ক্ষেত্রে অন্য সবজি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেও হতে পারে। তাই সতর্কতার সাথে সবজির পরিমাণ ঠিক করুন। ১০) খরগোশের পেট খারাপ হয় সবজির কারণে না। শবজিতে থাকা অতিরিক্ত পানির কারণে। কিছু ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ ধরনের সবজিতে থাকা কিছু উপাদানের করণে। তাই পেট খারাপ যেমন পেট ফুলে যাওয়া বা পটি নরম হওয়া ইত্যাদি। উক্ত লক্ষ্মণ গুলো দেখা দিলে সেমিথিকন গ্রুপের সিরাপ খাওয়া যেমন ঃ- Neodrop ০.৩ মিলি থেকে ০.৫ মিলি দিন দুইবার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি ডাক্তার এর পরামর্শ নিবেন। লিখেছেন ঃ jahidul raju Admin, rabbit welfare society of Bangladesh join our group : https://www.facebook.com/groups/rwsbd

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *