Posted on

বাংলাদেশের পরিবেশে কি খরগোশ পালন এর জন্য আদর্শ? হিটস্ট্রোক কেনো হয়?

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আগে আপনাকে আরো কিছু বিষয়ে জানতে হবে৷

খরগোশের দেহের তাপমাত্রা গড়ে কত?

খরগোশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 98 ডিগ্রি ফারেনহাইট (36.6 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) থেকে ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট গড় পর্যন্ত থাকে।

খরগোশের আদর্শ তাপমাত্রা  (outdoor) গড়ে কত?

খরগোশের আদর্শ তাপমাত্রা  (outdoor) 12 ডিগ্রি থেকে 21 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (55 ° থেকে 70 ° ফাঃ) গড় এর মধ্যে থাকে এবং আপনার খরগোশ 30 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (85 ° ফাঃ) এর বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে তবে এর উপরের হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।

সংক্ষেপে বললে ঃ-

খরগোশের  নরমাল body temperature 102 F to 103f গড়

খরগোশের   outdoor temperature is between 12° to 21°C (55° to 70°F) (“comfort zone”)

খরগোশের tolerate temperatures as high as 30°C (85°F) গড়

এবার আসুন জানি বাংলাদেশ এর গড় তাপমাত্রা ঃ-

বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা কত?

উঃ ২৬.০১ সেলসিয়াস।

2.বাংলাদেশের শীতকালের গড় তাপমাত্রা কত ?

উঃ ১৮.৭২ সেলসিয়াস।

3.বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রা কত ?

উঃ ২৭.৮ সেলসিয়াস।

4.বাংলাদেশের বর্ষাকালের গড় তাপমাত্রা কত ?

উঃ ২৬.৭ সেলসিয়াস।

৫) বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

উত্তর ঃ-ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস  ( ৮ জানুয়ারী ২০১৮ তেতুলিয়া ) ও ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

( ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে)

৬)বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত?

উত্তর ঃ- ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯৭২ সালের ১৮ মে। এটা ৫৪ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

তাহলে খরগোশ কেনো হিটস্ট্রোক করে?

উত্তর ঃ- আসলে হিটস্ট্রোক আমাদের নিজেদের ভুলেই খরগোশ করে। খরগোশ ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রার উপরে থাকতে পারে। আমরা বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা যদি দেখি তবে যে কোন খরগোশ পালন এই দেশের তাপমাত্রায় উপযুক্ত। হিটস্ট্রোক করতে যে অনেক হিট থাকতে হবে এমন না। শীতকালে হিটস্ট্রোক এর রেকর্ড আছে।

হিটস্ট্রোক এর জন্য অন্য যে সকল বিষয় দ্বায়ী ঃ-

১) হঠাৎ তাপমাত্রায় পরিবর্তন ঃ- খেয়াল করলে দেখবেন সকাল ৫-১০ টার মধ্য ও বিকেল ৪-৮ টার মধ্যেই সব থেকে বেশি হিটস্ট্রোক হয়। এর কারণ সেই সময় বাংলাদেশের পরিবেশে তাপমাত্রা তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হয়। যেটা খরগোশ জন্য ভালো না। তাই  ac রুম ও আউটডোরে বার বার শিফট করা যাবে না। করলেও সেটা খুব সাবধানে করতে হবে।

২) খাদ্য ঃ- ওজন বাড়ার কারণে হিটস্ট্রোক করতে পারে। তাই এমন খাবার ও পরিমাণ ঠিক রেখে দিতে হবে যেখানে ওজন না বাড়ে। বয়স ও গঠন পরিমাপ করে। আদর্শ খাবার ও পরিমাণ ঠিক করতে হবে।

৩) চামড়ার নিচে চর্বি ঃ- লোম বড় নাকি ছোট সেটা হিটস্ট্রোক এর জন্য জরুরি না। যদি চামড়ার নিচে অতিরিক্ত চর্বি থেকে তো সেই খরগোশ শীত প্রধান দেশে সার্ভাইব করতে পারবে। আর যদি চামড়ার নিচে কম চর্বি থাকে তবে এটা গরম প্রধান দেশে ভালো সার্ভাইব করতে পারবে।

৪) অতিরিক্ত শুকনো খাবার ঃ- অতিরিক্ত শুকনো খাবার পানি সল্পতা তৈরি করে। যার ফলে হিটস্ট্রোক করতে পারে।

আমরা যদি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধরি তবে সেটা 2.6 থেকে 45.1 সেলসিয়াস  যেটা কয়েক দশকে একবার হয়। তাও এটা খরগোশ এর জন্য মারাত্মক কিছু না।

আর গড় হিসেবে ধরলে সেটা ২৬.০১ সেলসিয়াস। যা যেকোনো দেশি বা বিদেশি খরগোশ পালন এর জন্য আদর্শ।

তারপরেও কিছু বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবেঃ-

১) হঠাৎ তাপমাত্রায় পরিবর্তন না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

২) গরম এর শুরুতে তাদের লোম ছোট করে দিতে হবে।

৩)খাবারে যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেটা লক্ষ রাখতে হবে।

৪) অভিজ্ঞতা আছে এমন কাউকে দিয়ে খাদ্য তালিকা করে নিতে হবে।

পরিশেষে বলা যায়, লোম বড় নাকি ছোট এটা বড় বিষয় না। বাংলাদেশের পরিবেশ খরগোশ পালন এর জন্য আদর্শ। সঠিক ভাবে পালন করতে পারলে সব খরগোশ কে সুস্থ রাখা সম্ভব। আর সেটা খুব ভালো ভাবেই করা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *