Posted on

খরগোশকে কুকুর বিড়াল কামড়ালে যা করবেন

খরগোশ তৃণভোজী প্রাণী। অপর দিকে কুকুর বিড়াল মাংসাশী প্রাণী। তাই আমাদের অধিক সতর্ক অবলম্বন করতে হবে যাতে করে কুকুর বিড়াল এর সংস্পর্শে খরগোশ না আসতে পারে। কারণ তারা একবার খরগোশ কে নাগালে পেলেই শিকার এর জন্য তৈরী হয়, পুরোপুরি শিকার করতে না পারলে কামড়িয়ে দেয়। কুকুর বিড়াল কামড় দিলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খরগোশ কে বাচানো কঠিন হয়ে যায়। কারণ কুকুর বিড়ালের দাঁতের বিষ খরগোশ এর শরীরে প্রবেশ করলে বা গুরুতর আঘাত পেলে তাকে বাচানো যায়না। ⚠️প্রথমে আসি কোন অবস্থায় বাচানোর চান্স থাকেঃ১.কুকুর বিড়াল এর কামড় যদি গভীর না হয় বা দাঁতের বিষ না বসে। ২.যদি খরগোশ এর মাথা থেকে বা শরীরের দুইটা অংশের কোনো অংশ আলাদা না হয়ে যায় বা ভেংগে যায়।৩.যদি রগ এ কামড় না দেয়।৪.যদি আঘাত খুবই সামান্য হয়, তেমন ব্লিডিং না হয়।উপরিউক্ত কারণ গুলো হলে তাও অনেক ক্ষেত্রে খরগোশ বেচে যায়, তবে সব ক্ষেত্রে না। ⚠️এরপর আসি যেই অবস্থায় যেখানে বাচার হার সবচেয়ে কমঃ

১.কামড় গভীর হওয়া।

২.রগ কেটে যাওয়া।

৩.অতিরিক্ত ব্লিডিং হওয়া।

৪.শরীরের কোন অংশ কামড়ে আলাদা করে। ফেলা বা ভেংগে ফেলা।

৫.অত্যাধিক মাত্রায় জখম হওয়া।

প্রতিকারঃ যদি ক্ষত গভীর হয় তাহলে ভায়োডিন দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে নেভানল পাওডার দিয়ে দিতে হবে।আর যদি ক্ষত কম হয় বা গভীর না হয় তাহলে ভায়োডিন দিয়ে ব্যাক্ট্রোসিন অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে দিতে হবে।এগুলো হলো প্রাথমিক চিকিৎসা। এরপর অবশ্যই ভেট দেখাতে হবে।আরেকটা বিষয় দেখা যায় যে, কুকুর বিড়াল এর কামড় না খেলেও, শুধু এটাক করতে আসলেও অনেক সময় খরগোশ অত্যাধিক মাত্রার ভয় পেয়ে যায় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্যানিক এটাক এর সম্ভাবনাও থাকে। এমন হলে খরগোশ কে শান্ত ভাবে, শান্ত কোনো পরিবেশে থাকতে দিবেন, মাথায় আদর করে দিবেন এবং আস্তে আস্তে ওর সাথে কথা বলবেন যাতে করে সে সেইফ ফিল করে এবং নরমাল হয়৷ পরিশেষে বলতে চাই, খরগোশকে কুকুর বিড়াল কামড় দিলে আপনি কোনও এডমিনের সাজেশনে জন্য দেরী না করে প্রাথমিক কেয়ার নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ভেটের কাছে নিতে হবে। এই জটিল অবস্থাতে একমাএ ভেটই পারবে সঠিক চিকিৎসা দিতে। কোনও রুপ অবহেলা করা যাবে না চিকিৎসার ব্যাপারে। আশেপাশে ভেট না থাকলে অনলাইনে ভেট দেখাবেন। Rabbit Welfare Society of Bangladesh এই পেজ এ ভেট থাকেন, পেজ এ ম্যাসেজ দিয়ে চার্জ বিকাশ করে ভেট এর সাথে কথা বলে নিবেন।খরগোশকে সব সময় কুকুর বিড়াল ও সকল শিকারী প্রানী হতে সাবধানে রাখবেন, কারণ ৮০% কেস এই খরগোশ কে বাচানো সম্ভব হয়না।ভালো থাকবেন এবং ভালো রাখবেন আপনাদের খরগোশদের।

ধন্যবাদ।

Faozia Fariha 

Admin

Rabbit Welfare Society of Bangladesh.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *