ক্যাট ফ্লু
মৌসুম বদলানোর সাথে সাথে এই সময় বিড়ালের সচরাচর যে রোগ হয়ে থাকে তা হলো “কমন কোল্ড” । এটিকে অনেকে ক্যাট ফ্লু নামেও চিনে। এটি মূলত ভাইরাসজনিত রোগ যা এক বিড়াল থেকে অন্য বিড়ালে দ্রুত ছড়ায়। এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয় বয়সে ছোট বিড়ালগুলো। পূর্ণ বয়স্করা তুলনামূলক কম আক্রান্ত হয়। নয়তো তারা এই রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে ।
লক্ষণ:-সর্দি- কাশি হওয়া, নাক- চোখ দিয়ে তরল পদার্থ বের হওয়া।নাকে চোখে ঘা হওয়া। চোখে বার বার ময়লা জমা। জ্বর হওয়া। একদমই দুর্বল হয়ে যাওয়া। এক্টিভিটিস কমে যাওয়া। সারাদিন শুয়ে বসে থাকা। ক্ষুধামন্দা দেখা দেওয়া। সর্দির জন্য গলার স্বর বদলিয়ে যায়। কিছু খেলেই বমি করা। বা বার বার বমি করতে থাকা। পটি পাতলা হওয়া। দেহের ওজন অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়া।
প্রতিরোধ:-এই রোগ থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো মৌসুম বদলানোর আগ দিয়েই বিড়ালকে ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া। প্রথম টিকা বিড়ালের বয়স তিনমাস হলে দিতে হয়। পরের টিকা এক বছর অন্তর অন্তর করে দিতে হয়।তাছাড়া শীতের দিনে ওকে উষ্ণ স্থানে রাখা খুব জরুরি। এবং খেয়াল রাখতে হবে যেনো ঠাণ্ডা না বাধায়।
চিকিৎসা:-বিড়াল এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলে প্রথমেই উচিত ঘরের অন্য বিড়ালদের থেকে ওকে আলাদা করে নেওয়া। তা সাথে ওর আগের থাকার জায়গা একদম ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া। যেনো অন্যদের মধ্যে এটা না ছড়ায়। কেননা এই ভাইরাসজনিত রোগ দ্রুত ছড়াতে সক্ষম।আক্রান্ত বিড়ালকে পরিষ্কার, ঊষ্ণ জায়গায় রাখতে হবে। চোঁখ, কান দিয়ে তরল পদার্থ বের হলে তা সাথে সাথে মুছে দিতে হবে। এক – দুই ফোঁটা নরসল স্যালাইন বা ড্রপ দিয়ে কটন প্যাড ভিজিয়ে চোঁখ মুছে দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। না খেতে চাইলে জোর করে খাওয়াতে হবে। পানি বা স্যালাইন খাওয়াতে হবে নয়তো পানী শূন্যতা দেখা দিবে। একদমই না খাইতে চাইলে হাসপাতালে নিয়ে স্যালাইন দিতে হবে । সাধারনত এই নিয়ম গুলো মেনে চললে সপ্তাহ খানিকের মধ্যে বিড়াল সুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা।
কিন্তু এর মধ্যেই বা আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ভেট দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হলো।
আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ঃ-
Cat Welfare Society Of Bangladesh
facebook link :- https://www.facebook.com/groups/catwsbd
facebook link :- https://www.facebook.com/groups/crwbd
facebook link :- https://www.facebook.com/groups/catwsb