খরগোশ সম্পর্কে কিছু মজাদার তথ্য
খরগোশ সম্পর্কে কিছু মজাদার তথ্য: খরগোশ বুদ্ধিসম্পন্ন, সামাজিক ও পরিস্কার একটি প্রানি, এদের সম্পর্কে কিছু মজাদার তথ্য আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করবো, যেমন ধরূন • পুরূষ খরগোশকে বাক আর স্ত্রী খরগোশকে ডো বলা হয়।খরগোশ ডিম পাড়ে না বরং ছানা ফোটায়, জন্মানোর পর বেশ কয়েক দিন ছানাগুলো তাদের নেস্ট-এ অন্ধ অবস্থায় কাটায়। • খরগোশের দাত ক্রমবর্ধমান, সৌভাগ্যবসত এরা সারাদিন দাতের সাথে দাত চাবাতে থাকে, এরা প্রতি মিনিটে ১২০ বার চাবায়।. • বিড়ালের মতন খরগোশকে পৃথক স্থানে পায়কানা করানো অভ্যাস করানো যায় এবং তারা দিনে অন্তত ৫ বার নিজেদের পশম পরিস্কার করে। • খরগোশ বমি করা কিংবা কাশি দিতে পারে না, তাই খেয়াল রাখতে হবে এরা যেন অস্বাস্থ্যেকর কিছু না খায় এবং এদের চুল আচড়ে সেগুলো বাইরে ফেলে দিতে হবে। • খরগোশে দৈনিক ৪ ঘন্টা খেলা-ধুলা/ব্যায়াম করে ,এদে তাদের স্বাস্থ্যে ভালো থাকবে। • মজার ব্যাপার হল খরগোশের দুটি কান এনটিনার মতন কাজ করে, এরা কানগুলোর সাহায্যে দুর থেকে শব্দ সংগ্রহ করতে পারে এবং দুই দিক থেকে সমান ভাবে শব্দ শুনতে পায়। • জঙ্গলে খরগোশদের ওয়ারেন থাকে, যেটি খরগোশ মাটির নিচে খুড়ে খুড়ে বিশাল কলোনির মতন করে, ইউরোপে একটি ওয়ারেন-এ ৪৫০ টি খরগোশ থাকতো এবং সেই ওয়ারেন এ ২০০ টি প্রবেশ পথ ছিল। • প্রতিটি খরগোশের একটি নিজস্ব ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র্যতা থাকে, অন্য কোন প্রানি, কিংবা অন্য কোন খরগোশের সাথে আন্তরিক হতে দীর্ঘ সময় নেয়। • মজার ব্যাপার হল অনেক সময়ই খরগোশ এক চোখ বন্ধ করে ঘুমায়, আর অন্য চোখ খোলা রাখে, অন্য চোখ খোলা রাখার উদ্দেশ্যে যেন শত্রূ আসলে দ্রূত পালাতে পারে। • পৃথিবীর মোট খরগোশের অর্ধেকের বেশি আছে শুধু মাত্র উত্তর আমেরিকায়। • খরগোশকে Crepuscular-প্রানি কে বলা হয়, যার মানে এরা অন্ধকারে জেগে থাকে আর দিনের বেলা থেকে ১৫-১৬ বার ন্যাপ নেয়।